how to make long lasting your love

ভালবাসা টিকে রাখার ১০ টি উপায়

দীর্ঘ সময়ের সম্পর্কের পর বিয়ে হয়েছে দিয়া আর অভিষেকের। প্রথম কয়েকটা দিন বেশ ভালোই কেটেছে। তার পরই নানা ছোটখাটো ঘটনাকে ঘিরেও তৈরি হচ্ছে টানাপোড়েন। কখনও অফিসের কাজের চাপ তো কখনও বাড়িতে শ্বশুড়-শাশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য। সব কিছু নিয়ে বেশ ঘেঁটে যাওয়া একটা পরিস্থিতি। কী করা উচিত বা উচিত নয় ভেবে কুল করতে পারছেন না দু'জনেই। মনোবিদদের মতে এমনটা হওয়া আশ্চর্য নয়। সম্পর্কের রাস্তা সব সময় সমান থাকে না। জীবনে কয়েকটা সামান্য ঘটনা থেকে এমন পরিস্থিতি আপনাদের ক্ষেত্রেও তৈরি হতে পারে। কী সেই ঘটনাগুলি দেখে নেওয়া যাক এক নজরে: 

 ১) আমি বাড়ি ছেড়ে এসেছি, ওকেও পাল্টাতে হবে
বিয়ের পর যখন একটি মেয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুড় বাড়িতে আসেন, সে সময় তাঁর সব থেকে কাছের মানুষ স্বামীই হন। তবে তাঁকে নিরন্তর পরিবর্তন করার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ব্যাপারটি স্বামীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। একে অপরকে একটু সময় দিন। পরিস্থিতি অনুযায়ী পাল্টাতে একটু সময় তো লাগবেই। 

২) তোমার বাবা-মায়ের সমস্যা

যদি স্বামী বা স্ত্রী-র মুখে নিজের বাবা-মায়ের সম্পর্কে খারাপ কথা শুনতে ভালো না লাগে, তবে নিজের জীবন সঙ্গীর কথাও ভাবতে হবে। তাঁরও খারাপ লাগতে পারে। পরিবারে পরিবর্তন হলে সেটা জীবনেও হয়। দু'জনকেই এটা বুঝতে হবে।
 ৩) শুধু আমায় দেখো
বিশেষত, স্ত্রীদের এই প্রবণতা বেশি থাকে। যে কোনও ব্যাপারে অফিসে ফোন করা, নিমন্ত্রণে গিয়েও হাত ধরে থাকতে হবে, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও চাই আনইন্টারাপটেড অ্যাটেনশন। প্রবণতা ভীষণ খারাপ। মনোবিদরা বলছেন, স্বামী হোন বা স্ত্রী প্রত্যেকের একটি নিজস্ব সময় থাকা উচিত। না হলে একঘেয়েমি আসতে বাধ্য। তাই নিজেও ফ্রি থাকুন এবং সঙ্গীকেও ফ্রি থাকতে দিন। 

৪) ব্যক্তিগত সমস্যা বাইরে আলোচনা
এটা সম্পর্কের ওপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। বাড়ির বাইরে গিয়েও যদি কী করা উচিত, কী খাওয়া উচিত ইত্যাদি নিয়ে ক্রমাগত 'জ্ঞানবাণী' বর্ষণ করেন, তবে অচিরেই সম্পর্কের খারাপ দিকগুলো মাথা তুলতে পারে। সাবধান হোন। বাইরে কখনও সিন ক্রিয়েট করবেন না। মনে রাখবেন, নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করুন। কোনও তৃতীয় ব্যক্তি তা করতে পারবেন না। 

 ৫) কথা বন্ধ

অফিস থেকে ফিরতে দেরি হল বা ফরমায়েশ মতো কোনও জিনিস আনতে ভুলে গেলেন। বাড়িতে গিয়েই দেখলেন স্ত্রীর মুখ হাঁড়ি। সঙ্গে অবশ্যই কথা বন্ধ। 'ও কেন বুঝবে না' বা 'মনের কথাটি বুঝে নিতে হবে' এই ভেবে যদি কথা বন্ধ করেন তবে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। সঙ্গী যদি 'অন্তর্যামী' হন তবে আলাদা কথা, না হলে কথা বলুন। মনের কথা চেপে রেখে কথা বন্ধ করলে পরিস্থিতি দম বন্ধ করার মতো হয়ে উঠবে। যে কোনও সম্পর্কে নিজেদের ভাব আদানপ্রদান ভীষণ জরুরি। 


৬) ভুলে যান, ক্ষমা করুন
জন্মদিন হোক বা বিয়ের তারিখ, একবার ভুলে গেলে দক্ষযজ্ঞ। একে অপরকে দোষারোপ করার অভ্যাস থাকলে তা থেকে বেরিয়ে আসুন। ভুল মানুষ মাত্রেই হয়ে থাকে। তবে খারাপ লাগার মুহূর্তটি স্বামী বা স্ত্রীকে আলাদা করে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তিনি নিশ্চয়ই বুঝবেন। 
 ৭) সময় বুঝে কথা বলুন
স্বামী বা স্ত্রী অফিস থেকে ফিরেছেন, সে সময়ই সারা দিনের একরাশ অভিযোগের ডালি সাজিয়ে বসলেন তাঁর সামনে। সঙ্গে বাছাবাছা বাক্যবান। মেজাজ গরম হতে পারে নিমেষে। তাই সময় এবং পরিস্থিতি বুঝে কথা বলা জরুরি। সব সময় মনে রাখবেন, ঠান্ডা মাথা কাজ করে বেশি। গরম মাথার সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুল হয়। 

৮) বিশ্বাসের অভাব, গোয়েন্দাগিরি
যে কোনও সম্পর্কের মূল ভিত্তি, বিশ্বাস। যদি একে অপরকে বিশ্বাস না করতে পারেন তবে সম্পর্ক টেকা খুব মুশকিল। তার উপর যদি গোয়ান্দাগিরির অভ্যাস থাকে তা হলে তো কথাই নেই। ফোন বা ইমেল, ফেসবুকে চ্যাট হিস্ট্রি, এ সব ঘাঁটার অভ্যাসও খুব খারাপ। মনে রাখবেন, বিশ্বাস একবার হারিয়ে গেলে সেটা সহজে ফেরত আসে না। তাই এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকাই ভালো যা থেকে সঙ্গীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে পারে।  ৯) 'স্পার্ক' বাঁচিয়ে রাখুন
ডেটিংয়ের সময় মাঝে মধ্যেই টিপটপ হয়ে বেরনো, রেস্তোরাঁয় খাওয়া, সিনেমা দেখা ইত্যাদি হামেশাই হত। বিয়ের পর কত দিন বাইরে গিয়েছেন? কবে টিপটপ হয়ে বেড়াতে বেরিয়েছেন? এই ছোট্ট ঘটনাগুলি জীবনের স্পার্ক জিইয়ে রাখে। তার জন্য ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁয় যাওয়ার প্রয়োজন নেই, ময়দানের বাদামভাজাও তোফা কাজ করবে। 

১০) টেকেন ফর গ্রান্টেড
সকালের চা তো স্ত্রীই করবে বা বাচ্চাকে স্কুল থেকে তো স্বামীই আনবে এমনটা হলে খুব সমস্যা। যাঁর সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে চান, বিশেষত তাঁকে কখনই টেকেন ফর গ্রান্টেড মনে করবেন না। সঙ্গীকে এটা বুঝতে দিন ভালোবাসাই আপনাদের সম্পর্কের প্রধান চাহিদা। এই ভাবনা স্বামী বা স্ত্রীকে আরও কাছের মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। 
how to make long lasting your love how to make long lasting your love Reviewed by Thailand Life on 7:54 AM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.