স্থূলতার বাহক জিনের রহস্য ফাঁস
ঘটনা এক: একটি অ্যাড এজেন্সিতে গত পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে অভীক৷ সারা দিন কাটে কম্পিউটারের সামনে বসে৷ টিফিন নিয়ে আসার সুযোগ হয় না৷ খাবার বলতে বেশির ভাগ সময় ফোন করে আনিয়ে নেওয়া এক প্লেট চাওমিন, কখনও বা ফিশ ন'চিপস৷ বয়স ত্রিশের কোঠায় পৌঁছতে না পৌঁছতেই সঙ্গী হয়েছে ডায়াবিটিস৷
ঘটনা দুই: বছর তিনেক আগে সংবাদ চ্যানেলে যোগ দিয়েছে পৃথা৷ কাজের সময় কখনও সকাল, কখনও সন্ধ্যা তো কখনও রাত্রি৷ কাজের চাপে অনেক দিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা খাওয়ার সময়ই পায় না৷ ঘুমের অভ্যাসটাও ডিউটি আওয়ার্সের সঙ্গে এলোমেলো হয় নিয়ম করে৷ কিছু দিন ধরে ক্লান্তি আর অবসাদ গ্রাস করেছিল৷ চিকিত্সক নিদান দিলেন ডায়াবিটিস৷
ডায়াবিটিস ছাড়াও অভীক আর পৃথার মধ্যে একটা বিষয়ে মিল রয়েছে৷ ওরা দু'জনেই ওবেসিটির শিকার৷ যেটাকে বর্তমানে চিকিত্সকরা আধুনিক 'মহামারী' হিসেবে বর্ণনা করছেন৷ ওবেসিটির প্রভাবে যে ডায়াবিটিস হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বাড়ে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷ আর অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া হোক বা লম্বা সময় না খেয়ে থাকা, ওবেসিটির পিছনে আসল কারণ যে অনিয়মিত লাইফস্টাইল, সেটাও আর কোনও নতুন তথ্য নয়৷ কিন্ত্ত কেন কিছু কিছু মানুষের মধ্যে ওবেসিটির প্রবণতা অন্যদের তুলনায় বেশি? কেন একই ধরনের লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত সকলেই একই ভাবে ওবেসিটির শিকার হন না?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফাস্টফুড ও অনিয়মিত লাইফস্টাইলের বাইরেও এর আরও একটি কারণ লুকিয়ে থাকে বিশেষ এক ধরনের জিনে৷ ওবেসিটি এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত টাইপ-টু ডায়াবিটিস হওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাঙ্কাইরিন-বি নামে এই জিনটির ভূমিকা রয়েছে বলে অনেক দিন আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছিলেন৷ কিন্ত্ত ঠিক কী ভাবে সেটি কাজ করে, তা এত দিন জানা ছিল না৷ সম্প্রতি ইঁদুরের দেহে পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা সেই উপায়টাই খুঁজে পেয়েছেন৷ কী ভাবে কাজ করে অ্যাঙ্কাইরিন-বি?
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দুটি ভিন্ন ধরনের মিউটেশনের মাধ্যমে কোষের গ্লুকোজ শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে এই জিন৷ ফলে সেই কোষগুলিতে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হয়, যার পরিণতি ওবেসিটি এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত ডায়াবিটিস৷ এই পরীক্ষার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষেত্রে ওবেসিটি এড়ানো সম্ভব হতে পারে বলে তাঁদের আশা৷ সেটা কী ভাবে?
ডিউক ইউনিভার্সিটির বায়ো-কেমিস্ট্রি, সেল বায়োলজি ও নিউরোবায়োলজির অধ্যাপক ভ্যান বেনেট বলছেন, 'এটাই এমন একটি সাসেপটিবিলিটি জিনের (যে জিন কোনও রোগ হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়) উদাহরণ, যা আধুনিক লাইফস্টাইলের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়৷' অর্থাত্, এই জিন নতুন তৈরি হয়েছে, এমন নয়৷ কিন্ত্ত গত শতকের শেষ দুই দশকে মানুষের লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তন এসেছে এবং ফাস্টফুডের চল প্রচণ্ড বেড়েছে, তার ফলে এই জিনের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ এ বার যদি দেখা যায়, কোনও মানুষের দেহে এই জিনের উপস্থিতি রয়েছে, তা হলে তিনি আগাম সতর্ক হতে পারবেন৷ খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ ও এক্সারসাইজের মাধ্যমে ওবেসিটি-সম্পর্কিত ডায়াবিটিসের আশঙ্কা এড়ানোও হয়তো সম্ভব হবে বলে তাঁদের আশা৷ তবে পরীক্ষাটি সবে মাত্র প্রথম ধাপে৷ মানুষের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা ও প্রয়োগের আগে এখনও পেরোতে হবে অনেকগুলি ধাপ৷ - পিটিআই
ঘটনা দুই: বছর তিনেক আগে সংবাদ চ্যানেলে যোগ দিয়েছে পৃথা৷ কাজের সময় কখনও সকাল, কখনও সন্ধ্যা তো কখনও রাত্রি৷ কাজের চাপে অনেক দিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা খাওয়ার সময়ই পায় না৷ ঘুমের অভ্যাসটাও ডিউটি আওয়ার্সের সঙ্গে এলোমেলো হয় নিয়ম করে৷ কিছু দিন ধরে ক্লান্তি আর অবসাদ গ্রাস করেছিল৷ চিকিত্সক নিদান দিলেন ডায়াবিটিস৷
ডায়াবিটিস ছাড়াও অভীক আর পৃথার মধ্যে একটা বিষয়ে মিল রয়েছে৷ ওরা দু'জনেই ওবেসিটির শিকার৷ যেটাকে বর্তমানে চিকিত্সকরা আধুনিক 'মহামারী' হিসেবে বর্ণনা করছেন৷ ওবেসিটির প্রভাবে যে ডায়াবিটিস হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বাড়ে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷ আর অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া হোক বা লম্বা সময় না খেয়ে থাকা, ওবেসিটির পিছনে আসল কারণ যে অনিয়মিত লাইফস্টাইল, সেটাও আর কোনও নতুন তথ্য নয়৷ কিন্ত্ত কেন কিছু কিছু মানুষের মধ্যে ওবেসিটির প্রবণতা অন্যদের তুলনায় বেশি? কেন একই ধরনের লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত সকলেই একই ভাবে ওবেসিটির শিকার হন না?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফাস্টফুড ও অনিয়মিত লাইফস্টাইলের বাইরেও এর আরও একটি কারণ লুকিয়ে থাকে বিশেষ এক ধরনের জিনে৷ ওবেসিটি এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত টাইপ-টু ডায়াবিটিস হওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাঙ্কাইরিন-বি নামে এই জিনটির ভূমিকা রয়েছে বলে অনেক দিন আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছিলেন৷ কিন্ত্ত ঠিক কী ভাবে সেটি কাজ করে, তা এত দিন জানা ছিল না৷ সম্প্রতি ইঁদুরের দেহে পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা সেই উপায়টাই খুঁজে পেয়েছেন৷ কী ভাবে কাজ করে অ্যাঙ্কাইরিন-বি?
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দুটি ভিন্ন ধরনের মিউটেশনের মাধ্যমে কোষের গ্লুকোজ শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে এই জিন৷ ফলে সেই কোষগুলিতে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হয়, যার পরিণতি ওবেসিটি এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত ডায়াবিটিস৷ এই পরীক্ষার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষেত্রে ওবেসিটি এড়ানো সম্ভব হতে পারে বলে তাঁদের আশা৷ সেটা কী ভাবে?
ডিউক ইউনিভার্সিটির বায়ো-কেমিস্ট্রি, সেল বায়োলজি ও নিউরোবায়োলজির অধ্যাপক ভ্যান বেনেট বলছেন, 'এটাই এমন একটি সাসেপটিবিলিটি জিনের (যে জিন কোনও রোগ হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়) উদাহরণ, যা আধুনিক লাইফস্টাইলের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়৷' অর্থাত্, এই জিন নতুন তৈরি হয়েছে, এমন নয়৷ কিন্ত্ত গত শতকের শেষ দুই দশকে মানুষের লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তন এসেছে এবং ফাস্টফুডের চল প্রচণ্ড বেড়েছে, তার ফলে এই জিনের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ এ বার যদি দেখা যায়, কোনও মানুষের দেহে এই জিনের উপস্থিতি রয়েছে, তা হলে তিনি আগাম সতর্ক হতে পারবেন৷ খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ ও এক্সারসাইজের মাধ্যমে ওবেসিটি-সম্পর্কিত ডায়াবিটিসের আশঙ্কা এড়ানোও হয়তো সম্ভব হবে বলে তাঁদের আশা৷ তবে পরীক্ষাটি সবে মাত্র প্রথম ধাপে৷ মানুষের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা ও প্রয়োগের আগে এখনও পেরোতে হবে অনেকগুলি ধাপ৷ - পিটিআই
স্থূলতার বাহক জিনের রহস্য ফাঁস
Reviewed by Thailand Life
on
9:34 AM
Rating:
No comments: