আশ্চর্য আন্টার্কটিকা, ২০টি তথ্য যা জানেন না
পৃথিবীর দুর্গমতম, উচ্চতম, শীতলতম, শুষ্কতম তথা নির্জনতম মহাদেশ আন্টার্কটিকা। এখানেই দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি বাতাস চলাচল করে। তবে এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু অজানা তথ্য যা এই মহাদেশ সম্পর্কে নতুন করে ভাবায়।
১) আন্টার্কটিকায় কাজ করতে গেলে শরীর থেকে বাদ দিতে হবে আক্কেল দাঁত ও অ্যাপেনডিক্স। এই মহাদেশে শল্যচিকিত্সার ব্যবস্থা নেই। সুতরাং এখানে আসার আগেই ওই দু'টির মায়া কাটিয়ে আসতে হবে।
২) বিশ্বের শুষ্কতম স্থান আন্টার্কটিকা। এই মহাদেশের ড্রাই ভ্যালি অঞ্চল পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে শুকনো এলাকা বলে চিহ্নিত।
৩) বেশ কিছু দেশের মতো (যেমন অস্ট্রেলিয়ার .au বা জার্মানির .de অথবা ভারতের .in) আন্টার্কটিকারও নিজস্ব ডোমেইন রয়েছে। তুষার রাজ্যের ডোমেইন হল .aq।
আরও ছবি দেখতে ক্লিক করুন এখানে: সুচিত্র কুমেরু
৪) ৫.৩ কোটি বছর আগে আন্টার্কটিকার আবহাওয়া যথেষ্ট উষ্ণ ছিল। সেই সময় এখানকার গড় তাপমান ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এখানে সমুদ্রের তীর বরাবর পাম গাছের সারি দেখা যেত।
৫) বিশ্বখ্যাত মার্কিন হেভি মেটাল রকব্যান্ড মেট্যালিকা আন্টার্কটিকায় পারফর্ম করেছিল। তাদের জনপ্রিয় গান Freez e 'Em All-এর শ্যুটিং হয়েছিল চিরতুষারের দেশে। উল্লেখ্য, মাত্র এক বছরে বিশ্বের সাতটি মহাদেশে অনুষ্ঠান করে নজির গড়ে মেট্যালিকা।
e 'Em All-এর শ্যুটিং হয়েছিল চিরতুষারের দেশে। উল্লেখ্য, মাত্র এক বছরে বিশ্বের সাতটি মহাদেশে অনুষ্ঠান করে নজির গড়ে মেট্যালিকা।
৬) আন্টার্কটিকাতেও রয়েছে পরমাণু চুল্লি। ১৯৬২ সাল থেকে এই মহাদেশের বুকে কাজ করে চলেছে মার্কিন পরমাণু চুল্লি ম্যাকমার্ডো স্টেশন।
৭) আন্টার্কটিকার নিজস্ব দমকল বিভাগ রয়েছে। ম্যাকমার্ডো স্টেশনের ভিতরেই রয়েছে এই দপ্তর। আগুন নেভাতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং পেশাদার দমকলকর্মীরা এখানে মজুত।
আরও ছবি দেখতে ক্লিক করুন এখানে: সুচিত্র কুমেরু
৮) চরম আবহাওয়া থাকা সত্বেও আন্টার্কটিকায় পাওয়া যায় ১১৫০ প্রজাতির ছত্রাক। এদের মধ্যে বেশ কিছু প্রজাতি রীতিমতো নজরকাড়া। আসলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়াতেও নিজেদের অনায়াসে খাপ খাইয়ে নিতে পারে ছত্রাক।
৯) বিশ্বের প্রতিটি টাইমজোন পাওয়া যা  য় আন্টার্কটিকায়। পৃথিবীর দুই মেরুতে এসে মিলেছে সময় বিভাজনকারী দ্রাঘিমা রেখা। স্বাভাবিক ভাবেই এখানে রয়েছে দুনিয়ার সমস্ত টাইমজোনের উপস্থিতি।
১০) চায়নায় যেমন হায়না মেলে না তেমনই আন্টার্কটিকায় পোলার বিয়ার অর্থাত্ মেরু-ভালুক বাস করে না। এদের বসতি আর্কটিক অঞ্চল অথবা কানাডায়।
১১) আন্টার্কটিকায় রয়েছে বিশ্বের দক্ষিণতম পানশালাটি। শীতলতম অবস্থানে একটু উষ্ণ হতে চাইলে ভার্নার্ডস্কাই গবেষণা কেন্দ্র লাগোয়া এই বার-ই ভরসা।
আরও ছবি দেখতে ক্লিক করুন এখানে: সুচিত্র কুমেরু
১২) পৃথিবীর বুকে শীতলতম তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়েছিল আন্টার্কটিকাতেই। ১৯৮৩ সালের ২১ জুলাই আন্টার্কটিকার ভস্তক স্টেশনে রেকর্ড হওয়া তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১২৮.৫৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট অর্থাত্ মাইনাস ৮৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 ১৩) আন্টার্কটিকা পৃথিবীর পঞ্চম বিশালতম মহাদেশ। এর মোট এলাকা ১.৪ কোটি বর্গ কিলোমিটার।
১৩) আন্টার্কটিকা পৃথিবীর পঞ্চম বিশালতম মহাদেশ। এর মোট এলাকা ১.৪ কোটি বর্গ কিলোমিটার।
১৪) আন্টার্কটিকার ১৪.৯৯ শতাংশ অঞ্চল বরফে মোড়া। একাধিক হিমবাহের নীচে চাপা পড়েছে মহাদেশের জমি। তুষারের এই স্তরকে বলা হয় বরফ চাদর।
১৫) আন্টার্কটিকার কঠিন বরফ চাদরের গড়ে প্রায় ১.৬ কিলোমিটার পুরু। পৃথিবীর মিষ্টি জল ভাণ্ডারের প্রায় ৭০ শতাংশই আন্টার্কটিকায় অবস্থিত।
১৬) আন্টার্কটিকার মাঝে রয়েছে ট্র্যান্সআন্টার্কটিক পর্বতশ্রেণী যা মহাদেশকে পূর্ব ও পশ্চিম অংশে ভাগ করেছে। কেপ অ্যাডেয়ার থেকে কোটসল্যান্ড পর্যন্ত এই পর্বতশ্রেণির মোট বিস্তৃতি ৩৫০০ কিলোমিটার।
আরও ছবি দেখতে ক্লিক করুন এখানে: সুচিত্র কুমেরু
১৭) ১৮২০ সালে আবিষ্কার হওয়ার আগে পর্যন্ত আন্টার্কটিকাকে দ্বীপপুঞ্জ হিসেবে মনে করা হত।
১৮) নরওয়ের বাসিন্দা রোয়াল্ড আমুন্ডসেন প্রথম মানুষ যিনি দক্ষিণ মেরুতে
পৌঁছেছিলেন। ব্রিটিশ অভিযাত্রী রবার্ট স্কটকে পিছনে ফে লে এই মহাদেশে তিনি পৌঁছন ১৯১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর।
লে এই মহাদেশে তিনি পৌঁছন ১৯১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর।
১৯) ১৯৫৯ সালে ১২টি দেশ আন্টার্কটিকা চুক্তি সই করে। চুক্তি অনুসারে, এই মহাদেশকে শান্তিপূর্ণ গবেষণামূলক কাজের জন্য উত্সর্গ করা হয়। বর্তমানে মোট ৪৮টি দেশ এই চুক্তির শরিক।
২০) ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি মাসে আন্টার্কটিকায় জন্মগ্রহণ করে প্রথম মানবশিশু এমিলিও মার্কো পামা। ঘটনা ঘিরে পরবর্তীকালে তৈরি হয় নানা বিতর্ক। অভিযোগ, তুষারভূমির একাংশ দখল করার উদ্দেশে জেনেশুনে এক সন্তানসম্ভবাকে আন্টার্কটিকায় পাঠিয়েছিল আর্জেন্তিনা।
১) আন্টার্কটিকায় কাজ করতে গেলে শরীর থেকে বাদ দিতে হবে আক্কেল দাঁত ও অ্যাপেনডিক্স। এই মহাদেশে শল্যচিকিত্সার ব্যবস্থা নেই। সুতরাং এখানে আসার আগেই ওই দু'টির মায়া কাটিয়ে আসতে হবে।
২) বিশ্বের শুষ্কতম স্থান আন্টার্কটিকা। এই মহাদেশের ড্রাই ভ্যালি অঞ্চল পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে শুকনো এলাকা বলে চিহ্নিত।
৩) বেশ কিছু দেশের মতো (যেমন অস্ট্রেলিয়ার .au বা জার্মানির .de অথবা ভারতের .in) আন্টার্কটিকারও নিজস্ব ডোমেইন রয়েছে। তুষার রাজ্যের ডোমেইন হল .aq।
আরও ছবি দেখতে ক্লিক করুন এখানে: সুচিত্র কুমেরু
৪) ৫.৩ কোটি বছর আগে আন্টার্কটিকার আবহাওয়া যথেষ্ট উষ্ণ ছিল। সেই সময় এখানকার গড় তাপমান ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এখানে সমুদ্রের তীর বরাবর পাম গাছের সারি দেখা যেত।
৫) বিশ্বখ্যাত মার্কিন হেভি মেটাল রকব্যান্ড মেট্যালিকা আন্টার্কটিকায় পারফর্ম করেছিল। তাদের জনপ্রিয় গান Freez
৬) আন্টার্কটিকাতেও রয়েছে পরমাণু চুল্লি। ১৯৬২ সাল থেকে এই মহাদেশের বুকে কাজ করে চলেছে মার্কিন পরমাণু চুল্লি ম্যাকমার্ডো স্টেশন।
৭) আন্টার্কটিকার নিজস্ব দমকল বিভাগ রয়েছে। ম্যাকমার্ডো স্টেশনের ভিতরেই রয়েছে এই দপ্তর। আগুন নেভাতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং পেশাদার দমকলকর্মীরা এখানে মজুত।
আরও ছবি দেখতে ক্লিক করুন এখানে: সুচিত্র কুমেরু
৮) চরম আবহাওয়া থাকা সত্বেও আন্টার্কটিকায় পাওয়া যায় ১১৫০ প্রজাতির ছত্রাক। এদের মধ্যে বেশ কিছু প্রজাতি রীতিমতো নজরকাড়া। আসলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়াতেও নিজেদের অনায়াসে খাপ খাইয়ে নিতে পারে ছত্রাক।
৯) বিশ্বের প্রতিটি টাইমজোন পাওয়া যা  য় আন্টার্কটিকায়। পৃথিবীর দুই মেরুতে এসে মিলেছে সময় বিভাজনকারী দ্রাঘিমা রেখা। স্বাভাবিক ভাবেই এখানে রয়েছে দুনিয়ার সমস্ত টাইমজোনের উপস্থিতি।
১০) চায়নায় যেমন হায়না মেলে না তেমনই আন্টার্কটিকায় পোলার বিয়ার অর্থাত্ মেরু-ভালুক বাস করে না। এদের বসতি আর্কটিক অঞ্চল অথবা কানাডায়।
১১) আন্টার্কটিকায় রয়েছে বিশ্বের দক্ষিণতম পানশালাটি। শীতলতম অবস্থানে একটু উষ্ণ হতে চাইলে ভার্নার্ডস্কাই গবেষণা কেন্দ্র লাগোয়া এই বার-ই ভরসা।
আরও ছবি দেখতে ক্লিক করুন এখানে: সুচিত্র কুমেরু
১২) পৃথিবীর বুকে শীতলতম তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়েছিল আন্টার্কটিকাতেই। ১৯৮৩ সালের ২১ জুলাই আন্টার্কটিকার ভস্তক স্টেশনে রেকর্ড হওয়া তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১২৮.৫৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট অর্থাত্ মাইনাস ৮৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৪) আন্টার্কটিকার ১৪.৯৯ শতাংশ অঞ্চল বরফে মোড়া। একাধিক হিমবাহের নীচে চাপা পড়েছে মহাদেশের জমি। তুষারের এই স্তরকে বলা হয় বরফ চাদর।
১৫) আন্টার্কটিকার কঠিন বরফ চাদরের গড়ে প্রায় ১.৬ কিলোমিটার পুরু। পৃথিবীর মিষ্টি জল ভাণ্ডারের প্রায় ৭০ শতাংশই আন্টার্কটিকায় অবস্থিত।
১৬) আন্টার্কটিকার মাঝে রয়েছে ট্র্যান্সআন্টার্কটিক পর্বতশ্রেণী যা মহাদেশকে পূর্ব ও পশ্চিম অংশে ভাগ করেছে। কেপ অ্যাডেয়ার থেকে কোটসল্যান্ড পর্যন্ত এই পর্বতশ্রেণির মোট বিস্তৃতি ৩৫০০ কিলোমিটার।
আরও ছবি দেখতে ক্লিক করুন এখানে: সুচিত্র কুমেরু
১৭) ১৮২০ সালে আবিষ্কার হওয়ার আগে পর্যন্ত আন্টার্কটিকাকে দ্বীপপুঞ্জ হিসেবে মনে করা হত।
১৮) নরওয়ের বাসিন্দা রোয়াল্ড আমুন্ডসেন প্রথম মানুষ যিনি দক্ষিণ মেরুতে
পৌঁছেছিলেন। ব্রিটিশ অভিযাত্রী রবার্ট স্কটকে পিছনে ফে
১৯) ১৯৫৯ সালে ১২টি দেশ আন্টার্কটিকা চুক্তি সই করে। চুক্তি অনুসারে, এই মহাদেশকে শান্তিপূর্ণ গবেষণামূলক কাজের জন্য উত্সর্গ করা হয়। বর্তমানে মোট ৪৮টি দেশ এই চুক্তির শরিক।
২০) ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি মাসে আন্টার্কটিকায় জন্মগ্রহণ করে প্রথম মানবশিশু এমিলিও মার্কো পামা। ঘটনা ঘিরে পরবর্তীকালে তৈরি হয় নানা বিতর্ক। অভিযোগ, তুষারভূমির একাংশ দখল করার উদ্দেশে জেনেশুনে এক সন্তানসম্ভবাকে আন্টার্কটিকায় পাঠিয়েছিল আর্জেন্তিনা।
আশ্চর্য আন্টার্কটিকা, ২০টি তথ্য যা জানেন না
![আশ্চর্য আন্টার্কটিকা, ২০টি তথ্য যা জানেন না]() Reviewed by Thailand Life
        on 
        
6:16 AM
 
        Rating:
 
        Reviewed by Thailand Life
        on 
        
6:16 AM
 
        Rating: 
 
 
No comments: